Monday, August 25, 2014

Alarming attitude of Indian Political Leaders

Map of India

India's territorial controversial locations indicated in this map


This news clip was taken from "Amardesh"

"Amardesh" again has quoted "Anandabazaar" as their source.

লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরানো নিয়ে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে বিতর্ক বেঁধেছিল। সেই বিতর্ক আবার সামনে এসে পড়ল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার মন্তব্যে। হিন্দুত্বের প্রচার নিয়ে পরিষদ বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিচ্ছে। সেই উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে শনিবার কলকাতায় তোগাড়িয়া দাবি তুলেছেন, ১৯৫১ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন, তাদের ফিরে যেতে হবে।

বাংলাদেশ তাদের না ফেরালে সামরিক অভিযানের হুমকিও দেন তিনি। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তিনি ছেড়ে কথা বলেননি। তোগাড়িয়ার হুঙ্কার, মুখ্যমন্ত্রী ওই অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা হবে।

তোগাড়িয়ার এই মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে মনে করছে তৃণমূল এবং বামেরা। এমনকি বিজেপিও সরাসরি তোগাড়িয়ার বক্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছে না। সিপিএম সাংসদ মুহম্মদ সেলিম বলেন, প্রবীণ তোগাড়িয়ার মতো লোকেরা যে রাজনীতির ধারক-বাহক, সেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি, সংখ্যাতত্ত্বের কোনও জায়গা নেই। সামনেই পুজো এবং বক্রি (কোরবানির) ঈদ। গ্রাম-বাংলা এবং শহরে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি গুলিয়ে দিতে চাইছে এসব সামপ্রদায়িক উন্মাদরা। তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কেন ব্যবস্থা নিল না, সে প্রশ্নও তুলেছেন সেলিম।

তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ অবশ্য মনে করেন, তোগাড়িয়ার মতো মানুষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। তিনি বলেন, এই সব সুড়সুড়ি দিয়ে বাংলায় কোনো লাভ হবে না। তোগাড়িয়ার মন্তব্য নিয়ে কিছুটা আতান্তরে পড়েন বিজেপি নেতৃত্বও। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ স্বীকার করেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো। কিন্তু তোগাড়িয়া এ দিন যে ভাষায় এবং ভঙ্গিতে বিষয়টি বলেছেন, তা নিয়ে রাহুলবাবুরা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন।
প্রসঙ্গ এড়াতে রাহুলবাবুর বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে অন্য কারো মন্তব্যের উপর আমি মন্তব্য করব না। রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্যের সতর্ক মন্তব্য, আমাদের সীমান্ত সমস্যা মানুষ বোঝেন। কোনো সমস্যা থাকলে তা আমাদের মতো করে সমাধান করতে হবে।

অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এখন সতর্ক। কারণ, এখানে ভোটারদের একটা বড় অংশ যেমন মুসলিম, তেমনই পূর্ব থেকে আসা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এই অংশের মানুষের কথা ভেবেই ভোটের প্রচারে কড়া সুরে মোদির বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

মোদি তার বক্তব্যের ভুল বার্তা যাচ্ছে বুঝে ভোটের প্রচারের পরবর্তী পর্বে ওই বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তার পরে ভোটে তৃণমূল যে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল, তার নেপথ্যে মমতার ওই কড়া অবস্থান অন্যতম কারণ বলে মানেন তৃণমূল ও বাম নেতাদের একাংশ। বিজেপি নেতৃত্বও তাই বিষয়টি অনুধাবন করে তোগাড়িয়ার বক্তব্য থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। সূত্র : আনন্দবজার পত্রিকা

Saturday, August 23, 2014

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর প্রধান সড়কটি জনসাধারনের যাতায়তের জন্য উন্মুক্ত করন


স্বাধীনতার পূর্বে ঢাকা ক্যানটনমেন্ট ছিল শহরের বাইরে। কিন্তু আজ বেয়াল্লিশ বছর পর পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হয়ে গেছে জনসাধারন দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি এলাকা। ক্যন্টনমেন্ট হওয়ার কারনে, তার ভেতর দিয়ে যাতায়ত অনুমতি স্বাপেক্ষ। যাদের প্রয়োজন নাই, তাদের ক্যন্টনমেন্ট প্রবেশ, স্বাভাবিক কারনেই নিয়ন্ত্রিত। তার ওপর ঢাকা শহর এখন পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল রাজাধানী।

ঢাকা শহরের বানিজ্যিক এলাকা মতিঝিল থেকে বেড়ে গিয়ে মহাখালী, গুলশান ও বনানী এলাকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে ক্রমশঃ। ফলে মহাখালী থেকে বনানী রেল গেট পর্যন্ত ট্রাফিক জ্যম বাড়ছেই।

বাসস্থান উত্তরাতে অনেকেরই। বাসস্থান উত্তরা থেকে কর্মস্থল মহাখালী তে এক চলাচল সময় মাস তিনেক পূর্বেও ছিল ৪০(চল্লিশ) মিনিট। ঈদের পর এই সময় বেড়ে দাড়িয়েছে ৮০(আশি) মিনিট।

বনানী রেল গেট উড়াল সেতু হওয়ার পর কাকলীর ট্রাফিক জ্যম বনানী রেল গেট এর উড়াল সেতুতে শুধু স্থানান্তরিত হয়েছে, কমেনি।

এমতাবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টএর শুধু মাত্র প্রধান সড়ক সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হালকা বাহন ও বিআরটিসি র স্থানীয় বাস এর জন্য খুলে দেয়া হলে মহাখালী থেকে বনানী রেলগেট উড়াল সেতু পর্যন্ত যে ট্র্যফিক জ্যম হচ্ছে তা কিছুটা হলেও নিরসন হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে কোন সরকারী সংস্থা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জনগনের সেবার জন্যই প্রতিষ্ঠিত।

ম্যপ দেখলে সহজেই বোঝা যাবে, শুধু মাত্র প্রধান সড়ক সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হালকা ব্যক্তিগত (প্রাইভেট) যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হলে জ্যমের কারনে নাগরিকদের ভোগান্তি কি পরিমান সাময়িক হলেও লাঘব হতে পারে।

এটি ঢাকা শহরের জন্য কোন দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।
দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আসে মেট্রো রেল থেকে, উড়াল সেতু থেকে নয়।
সরকার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন য়ত বিলম্ব করবেন, ঢাকা বাসীর দৈনন্দিন ট্র্যফিক জ্যম এর ভোগান্তি ক্রমান্বয়ে বাড়বেই বই কি, কমবে না।