Saturday, August 23, 2014

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর প্রধান সড়কটি জনসাধারনের যাতায়তের জন্য উন্মুক্ত করন


স্বাধীনতার পূর্বে ঢাকা ক্যানটনমেন্ট ছিল শহরের বাইরে। কিন্তু আজ বেয়াল্লিশ বছর পর পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হয়ে গেছে জনসাধারন দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি এলাকা। ক্যন্টনমেন্ট হওয়ার কারনে, তার ভেতর দিয়ে যাতায়ত অনুমতি স্বাপেক্ষ। যাদের প্রয়োজন নাই, তাদের ক্যন্টনমেন্ট প্রবেশ, স্বাভাবিক কারনেই নিয়ন্ত্রিত। তার ওপর ঢাকা শহর এখন পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল রাজাধানী।

ঢাকা শহরের বানিজ্যিক এলাকা মতিঝিল থেকে বেড়ে গিয়ে মহাখালী, গুলশান ও বনানী এলাকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে ক্রমশঃ। ফলে মহাখালী থেকে বনানী রেল গেট পর্যন্ত ট্রাফিক জ্যম বাড়ছেই।

বাসস্থান উত্তরাতে অনেকেরই। বাসস্থান উত্তরা থেকে কর্মস্থল মহাখালী তে এক চলাচল সময় মাস তিনেক পূর্বেও ছিল ৪০(চল্লিশ) মিনিট। ঈদের পর এই সময় বেড়ে দাড়িয়েছে ৮০(আশি) মিনিট।

বনানী রেল গেট উড়াল সেতু হওয়ার পর কাকলীর ট্রাফিক জ্যম বনানী রেল গেট এর উড়াল সেতুতে শুধু স্থানান্তরিত হয়েছে, কমেনি।

এমতাবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টএর শুধু মাত্র প্রধান সড়ক সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হালকা বাহন ও বিআরটিসি র স্থানীয় বাস এর জন্য খুলে দেয়া হলে মহাখালী থেকে বনানী রেলগেট উড়াল সেতু পর্যন্ত যে ট্র্যফিক জ্যম হচ্ছে তা কিছুটা হলেও নিরসন হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে কোন সরকারী সংস্থা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জনগনের সেবার জন্যই প্রতিষ্ঠিত।

ম্যপ দেখলে সহজেই বোঝা যাবে, শুধু মাত্র প্রধান সড়ক সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হালকা ব্যক্তিগত (প্রাইভেট) যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হলে জ্যমের কারনে নাগরিকদের ভোগান্তি কি পরিমান সাময়িক হলেও লাঘব হতে পারে।

এটি ঢাকা শহরের জন্য কোন দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।
দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আসে মেট্রো রেল থেকে, উড়াল সেতু থেকে নয়।
সরকার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন য়ত বিলম্ব করবেন, ঢাকা বাসীর দৈনন্দিন ট্র্যফিক জ্যম এর ভোগান্তি ক্রমান্বয়ে বাড়বেই বই কি, কমবে না।

No comments: